কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পেলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা

25th February 2021 9:52 pm বাঁকুড়া
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পেলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পূরস্কার হিসেবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌরসভা বিগত ৩৪ বছর ধরে পৌরপ্রধানের দায়িত্ব সামলে আসা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। এর আগে তিনি রাজ্যের তরফে নিরাপত্তারক্ষী পেতেন। তবে কয়েক মাস আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই তিনি রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেন।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে একজন সাব ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার আধিকারিক সহ তিন জন কেন্দ্রীয় জওয়ান তার বাড়ির সামনে নিযুক্ত হয়েছেন।

   এবিষয়ে শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বলেন, রাজ্যে সর্বত্র আমাদের কর্মীরা শাসক দলীর হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, অচেনা নাম্বার থেকে আমার কাছে অশালীন বক্তব্য আসার পাশাপাশি মেরে দেওয়া, কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর দলের তরফেই তাকে নিরাপত্তারক্ষী নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

   বিষয়টি 'হাস্যকর' বলে দাবি তৃণমূলের। দলের বিষ্ণুপুর টাউন সভাপতি জয়মাল্য ঘর বলেন, বিজেপিতেই ওনাকে নিয়ে বিরোধ আছে। ক'দিন আগে ওনাকে রথ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হুমকি ফোন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, তাহলেই কোন দল ওসব করছে বোঝাই যায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া লোকেরা নিরাপত্তা পাচ্ছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ হাস্যকর বলে তার দাবি।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।